স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শাহজাহানপুরে জোড়া খুনের ঘটনার নাটের গুরুদের খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দ্রুতই দোষীরা গ্রেপ্তার হবে বলে আশা করছি।

শনিবার (২৬ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শহীদ পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরই খুঁজছি না, এর পেছনে নাটের গুরু কারা তাদের বের করা হচ্ছে। তারাও রক্ষা পাবে না। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড আর সংঘটিত না হয়।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক কি-না। তবে এটি অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

আর এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরই আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। সেটি দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও পুলিশ খুনের সঙ্গে কারা জড়িত বা মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে কারা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে; তাও শনাক্ত করতে পারেনি। অথচ ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল ও আশপাশের বিভিন্ন সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। পাশাপাশি নিহত বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতির পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি। সেক্ষেত্রে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করার প্রস্তুতি নিয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনী কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। এ ঘটনায় টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

ইতোমধ্যে স্বামীর (টিপু) হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেছেন। তবে সেখানে কাউকে আসামি করা হয়নি।

 

কলমকথা / সাথী